শাহজালাল রাগীব-রাবেয়া প্রতিবন্ধী ইনস্টিটিউট

শাহী ঈদ্গাহ, সিলেট

দানবীর ড. রাগীব আলী সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র শাহী ঈদগাহ-তে প্রতিষ্ঠা করেছেন শাহজালাল রাগীব-রাবেয়া প্রতিবন্ধী ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভযাত্রা করে। অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অনেক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। দরিদ্র ছাত্রছাত্রীর জন্য রয়েছে বিনা খরচায় অধ্যয়নের সুযোগ। সমাজের সকল অবহেলিত প্রতিবন্ধী শিশুদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে অপেক্ষাকৃত উন্নততর জীবনযাত্রা নিশ্চিতকরণ ও মানবেতর অবস্থা থেকে চিরমুক্তির কথা বিবেচনায় এনে প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রকৃত বন্ধু দানবীর ড. রাগীব আলী প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। 
 
আয়তন : প্রতিষ্ঠানটির ভূমির পরিমাণ ৪ (চার) ডেসিমেল।
 
পরিচালনা/ব্যবস্থাপনা কমিটি :
১। ড. রাগীব আলী - সভাপতি
২। জনাব আব্দুল হাই - সহ-সভাপতি
৩। জনাব আব্দুল কাদির - সদস্য
৪। জনাব আব্দুল হান্নান - সদস্য
৫। মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মোঃ নাজমুল ইসলাম - সদস্য
৬। মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী - সদস্য 
৭। ড: আনিসুর রহমান ফরাজী - সদস্য
৮। প্রতিনিধি, শাহজালাল রাগীব-রাবেয়া প্রতিবন্ধী ইনস্টিটিউট - সদস্য (পদাধিকার বলে)
৯। উপসচিব, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন - সদস্য সচিব (পদাধিকারবলে)
   
প্রতিষ্ঠানের মিশন : 
শিশু-কিশোর ও প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিবন্ধীদের যুগোপযোগী কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নত মানের এবং যথাযথ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন সেবা প্রদান করা,  যাতে তারা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, সমাজের সক্রিয় সদস্য হিসাবে গড়ে ওঠে। তাদের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা, যাতে তারা সম্ভাবনার  পূর্ণবিস্তার  করতে পারে ।
 
প্রতিষ্ঠানের ভিশন :
বন্ধুসুলভ পরিবেশে বিশেষ শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের মূল ধারায় কার্যক্রম এ একীভূত, সমান সুযোগ ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে আমাদের শিশুদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পূর্ণবাসন প্রোগ্রাম দ্বারা মান উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের শিশুদের ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক অধিকার অর্জন, সঠিক তথ্য, সঠিক শিক্ষা সচেতনতা ও এডভোকেসির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বিকাশ, সঠিক গবেষণা পরিচালনার মাধম্যে উপলব্ধ প্রয়োজনীয় যত্ন ও সেবা প্রদান । 
 
প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য :
১। উপযুক্ত পদক্ষেপ  ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা। 
২। যথাক্রমে  মা ও বাবা এবং পরিচর্চাকারীর জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা। 
৩। কর্মশালা, সেমিনার, সিম্পাজিয়াম ব্যবস্থা এবং সামাজিক সচেতনতা তৈরি। 
৪। অটিস্টিক এবং অন্যান্য শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রেফারেল ব্যবস্থা। 
৫। স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রতিবন্ধীদের পুর্নবাসান সহায়তা । 
 
শিক্ষাদান পদ্ধতি :
১। Applied আচরণ বিশ্লেষণ (Aba) 
২। চিত্র বিনিময় কমিউনিকেশন সিস্টেম (PECS)
৩। Individualized শিক্ষা পরিকল্পনা (IEP)
৪। এক এক পদ্ধতি (one to one methodology)
৫। প্লে-থেরাপী 
৬। স্পিচ  এ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপী (Speech & Language )
৭। বিশেষজ্ঞ থেরাপিস্ট দ্বারা অনুমোদিত অন্যান্য বৈজ্ঞানিক approch। 
 
চিকিৎসা কার্যক্রম :
১। Occupational থেরাপী 
২। ফিজিওথেরাপী (Physiotherapy)
৩। স্পিচ এ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপী (Speech & Language)
৪। নৃত্য ও সঙ্গীত।
 
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :
১। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতি চালু
২। মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন এবং পরিচর্যাকারীদের জন্য ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালুকরণ
৩। রিহ্যাব সেন্টারে অসুস্থদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা
৪। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের পাঠ গ্রহণের উপযুক্ত করে সাধারণ স্কুলে প্রেরণ
৫। কলা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, কম্পিউটার, বুটিক, সূচিকর্ম, নার্সারী, দোকান ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুর্নবাসনের ব্যবস্থাকরণ।
 
ছাত্রছাত্রী : প্রায় ৮০ জন।
 
শিক্ষকমন্ডলী : ১০ (দশ) জন।