হাজী রাশীদ আলী হাইস্কুল

দক্ষিণ সুরমা, সিলেট

সিলেট শহর থেকে ৬কি:মি: দক্ষিণ পশ্চিমে সুরমার শাখা নদী বাসিয়ার পশ্চিম তীরে ছায়াঘেরা পল্লীর এক মনোরম পরিবেশে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। দেশবরেণ্য শিল্পপতি, সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী, উপ-মহাদেশের বিখ্যাত দানশীল ব্যক্তিত্ব দানবীর ড. রাগীব আলী ১৯৭২ সালে তাঁর বাবার নামে হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দানবীর ড. রাগীব আলীকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ-অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন এবং সহযোগিতা দিয়েছিলেন বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী। এছাড়া তাঁর এ মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে এগিয়ে এসেছিলেন অত্র এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ। এ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ‘হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়’। 
 
ভূমির পরিমাণ : ৩.২৫  (তিন একর পঁচিশ শতাংশ)
 
পরিচালনা / ব্যবস্থাপনা কমিটি:
জনাব ড. রাগীব আলী - সভাপতি
জনাব বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তী - শিক্ষক সদস্য
জনাব আবু জাফর কাওছার আহমদ - শিক্ষক সদস্য
তপতী দেবী - শিক্ষিকা সদস্য
জনাব মো: আব্দুল কুদ্দুস - অভিভাবক সদস্য
জনাব মো: গোলাম মোস্তফা - অভিভাবক সদস্য
জনাব আব্দুল কাইয়ুম মুকুল - অভিভাবক সদস্য
জনাবা জান্নাতারা বেগম রুমী - মহিলা অভিভাবক সদস্য
জনাব মো: আব্দুল হান্নান - দাতা সদস্য
মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী - শিক্ষানুরাগী সদস্য
জনাব মো: রমজান আলী, প্রধান শিক্ষক - সদস্য সচিব
 
গ্রন্থাগার : ২৩২৫টি বই সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে।
 
সুযোগ-সুবিধা :
১। সীমানা প্রাচীর বেষ্টিত অত্যন্ত নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে বিদ্যালয়ের অবস্থান। 
২। অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিচালিত।
৩। উক্ত বিদ্যালয়ে রয়েছে একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব।
৪। প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি আধুনিক বিজ্ঞানাগার আছে। পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান ও কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদানের প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ ও যন্ত্রপাতি বিদ্যমান।
৫। বিদ্যালয়ে বয়স্কাউট ও গার্লস গাইড দল আছে। ২০০৭ সালে লন্ডনের হাইল্যান্ডস পার্কে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড জাম্বুরীতে বয় স্কাউটরা অংশ গ্রহণ করেছে। 
৬। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর ড. রাগীব আলী সাহেবের সহধর্মিণী বিদ্যালয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক সভাপতি মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী প্রবর্তিত ‘রাবেয়া বৃত্তি’ প্রচলিত আছে। তিনি ১৯৮৫ সালে এ বৃত্তি প্রবর্তন করেন। বার্ষিক পরীক্ষার মেধা তালিকা অনুসারে ৬ষ্ঠ -৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে ১০জন করে এবং ৯ম -১০ম শ্রেণিতে প্রতি শ্রেণিতে ৫জন করে মেধাবী শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।
৭। এ বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমিক বিষয়াদি ছাড়াও সহপাঠ্য ক্রমিক বিষয়েও অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক মিলাদ মাহফিল, নবীন বরণ, এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, রবীন্দ্র  জয়ন্তী, নজরুল জয়ন্তী, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।  
 
ছাত্রছাত্রী : ১০৯৯ জন
 
শিক্ষকমণ্ডলী : ২৬ জন
 
অর্জন : ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১৬৮ জন। পাশ করেছে ১৫৬জন। পাশের হার ৯৩.৪৫ %
 
ওয়েবসাইটhttp://raubbd.org/