রাগীব-রাবেয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস একাডেমি

রাগীবনগর, সিলেট

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শিশু-কিশোরদের ক্রীড়াশিক্ষার জন্য সীমিত সংখ্যক সুযোগ সৃষ্টি করা ছাড়া বেসরকারিভাবে উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। উপরন্তু স্বল্পসংখ্যক যে কয়েকটি মানসম্পন্ন ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা আবার ব্যয়বহুল। যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়াশিক্ষার ব্যাপারে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও সহজলভ্য ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপ্রতুল। অথচ জাতীয় ও আন্তজার্তিক অঙ্গনে ক্রীড়াশিক্ষার মাধ্যমেই সফল ও উন্নত মানের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনাময় পথ অবারিত। তাই দুর্লভ ক্রীড়াশিক্ষাকে গণমানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দানবীর ড. রাগীব আলী ২০১৪ সালে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী রাগীবনগরে প্রতিষ্ঠা করেন রাগীব-রাবেয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস একাডেমি।
 
পরিচালনা/ব্যবস্থাপনা কমিটি
ড. রাগীব আলী - সভাপতি
জনাব আব্দুল হাই -  সদস্য
জনাব আব্দুল কাদির - সদস্য
জনাব আব্দুল হান্নান - সদস্য
সচিব, রাগীব-রাবেয়া ফান্ডেশন -  সদস্য (পদাধিকার বলে)
প্রতিনিধি, রাগীব-রাবেয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস একাডেমি - সদস্য (পদাধিকার বলে) 
উপ-সচিব, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন - সদস্য সচিব (পদাধিকার বলে)। 
 
রাগীব-রাবেয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস একাডেমির লক্ষ্য :
সম্ভাবনাময় কিশোরদেরকে ক্রীড়াবিদ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাধারণ ও ক্রীড়া শিক্ষা প্রদান করা।
 
একাডেমির অবস্থান :
সিলেট শহরের সন্নিকটে বাসিয়া নদীর পার্শ্ববর্তী ঐতিহ্যবাহী জনবসতি রাগীবনগরের এক মনোরম পরিবেশে রাগীব-রাবেয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস একাডেমি এর অবস্থান। একাডেমির পাশেই রয়েছে লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস, রাগীব-রাবেয়া ডিগ্রী কলেজ, রাবেয়া বানু জেনারেল হাসপাতাল, রাবেয়া খাতুন মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাজী রাশিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও রাগীবনগর পোস্ট অফিস।
 
একাডেমির বৈশিষ্ট্য :
১। অত্যন্ত যত্নসহকারে ছাত্রদের সাধারণ শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
২। খেলাধুলার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষাও প্রদান করা হবে। 
৩। অমনোযোগী দুর্বল ও চঞ্চল ছাত্রদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া হবে। 
৪। প্রতি অভিভাবক দিবসে অভিভাবকবৃন্দের সাথে লেখাপড়া, শৃঙ্খলা ও খেলাধুলার অগ্রগতি বিষয়ে মূল্যায়নধর্মী আলোচনা করা হবে।
৫। স্পোকেন ইংলিশ, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ইনডোর গেইমস্, কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুব্যবস্থা রয়েছে।
 
আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবার সুব্যবস্থা :
১। আবাসিক ছাত্রদের স্বাস্থ্যকর বাসস্থানের সুব্যবস্থা রয়েছে।
২। ছাত্রদের সুস্বাস্থ্য গঠনে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে।
৩। আবাসিক ছাত্রদের উন্নতমানের সুষম খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে।
৪। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রাবেয়া বানু জেনারেল হাসপাতালে এবং অসুস্থ ছাত্রদের জন্য জালালাবাদ  রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা রয়েছে।  
 
ক্রীড়া প্রশিক্ষণ :
১। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্রিকেট, ফুটবল এবং পরবর্তীতে অন্যান্য ক্রীড়া বিষয়ে বিদেশী অভিজ্ঞ কোচ ও দেশীয় কোচের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে 
২। অভিজ্ঞ ফিজিও দ্বারা ফিটনেস ও শরীর গঠনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে 
৩। স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে 
৪। পরবর্তী পর্যায়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে দেশের বাইরেও উন্নততর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে
৫। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দেশের ও দেশের বাইরে প্রদর্শনী খেলার আয়োজন করা হবে।
 
লেখাপড়ার সুব্যবস্থা :
১। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে।
২। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রদের প্রাথমিকভাবে ভর্তি করা হবে।
৩। প্রাথমিক পর্যায়ে হাজী রাশিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণের সুব্যবস্থা রয়েছে। পরবর্তীতে মাস্টার  প্ল্যান অনুযায়ী নিজস্ব একাডেমিক ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
৪। মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
 
নোট : আগামী জানুয়ারি ২০১৬ সাল থেকে ক্লাস শুরু হবে। আগামী নভেম্বর ২০১৫ সাল থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।