রাগীব-মজিব হাইস্কুল

নারায়নডহর, পূর্বধলা, নেত্রকোনা

রাগীব-মজিব উচ্চ বিদ্যালয়টি নেত্রকোনা জেলার অর্ন্তগত পূর্বধলা উপজেলাধীন ৬নং পূর্বধলা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর তারাকান্দা গ্রামে ০১ জানুয়ারি ১৯৯৫ ইংরেজি তারিখে দানবীর ড. রাগীব আলী সাহেবের অর্থায়নে এবং ড. মোহাম্মদ মজিবর রহমান সাহেবের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. মোহাম্মদ মজিবর রহমান যখন বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (ড্রাফটিং) পদে কর্মরত ছিলেন তখন উক্ত অবহেলিত এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে তাঁর জন্মস্থানের অত্যন্ত কাছের মানুষ বিশিষ্ট শিল্পপতি, শিক্ষানুরাগী, দানবীর ড. রাগীব আলী সাহেবের পরামর্শ ও সার্বিক সহায়তায় তাঁদের যৌথ নামে ও দানবীর ড. রাগীব আলী সাহবের অর্থায়নে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। অত্র এলাকার ৬ কি:মি: এর মধ্যে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ‘রাগীব-মজিব উচ্চ বিদ্যালয়টি’-যা শিক্ষা বিস্তারের আলোক বর্তিকাস্বরূপ কাজ করে যাচ্ছে। সর্বোপরি এই বিদ্যালয়টি স্থাপনের পর থেকে অদ্যাবধি শিক্ষকদের বেতন ভাতাদি ও শিক্ষার্থীদের উপকরণাদি দিয়ে দানবীর ড. রাগীব আলী সাহেব সার্বিক সহায়তা প্রদান করে আসছেন। 
 
ভূমির পরিমাণ : ১.৪৮ একর
 
পরিচালনা/ব্যবস্থাপনা কমিটি: 
জনাব মোঃ সিফাত উল্লাহ - সভাপতি
জনাব মোঃ খোকন মিয়া - অভিভাবক সদস্য
জনাব মোঃ ইদ্রিছ মিয়া  - অভিভাবক সদস্য
জনাব মোঃ ফজলু মিয়া  - অভিভাবক সদস্য
জনাব মোঃ বাবুল মিয়া - শিক্ষক সদস্য
আনোয়ারা খাতুন - ছাত্র অভিভাবক সদস্য
জনাব মোঃ আব্দুল ওয়াহাব - শিক্ষক প্রতিনিধি
জনাব মোঃ শহীদুল্লাহ - শিক্ষক প্রতিনিধি
রীনা ভট্টাচার্য - মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি
জনাব সিকান্দর আলী - দাতা সদস্য
জনাব মোঃ আতাহার আলী, প্রধান শিক্ষক - সদস্য সচিব
 
গ্রন্থাগার : ৪০০০ (চার হাজার) গ্রন্থ সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে।
 
সুযোগ-সুবিধা :
১। দরিদ্র তহবিল থেকে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
২। দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বিনা/ অর্ধ বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।
৩। প্রতি মাসে শিক্ষক, অভিভাবক ও গভর্ণিং বডির সদস্যদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা।
৪। নিয়মিত মূল্যায়ন পরীক্ষা গ্রহণ।
৫। তাছাড়া নিরক্ষরতা দূরীকরণ, যৌতুক বিরোধী আন্দোলন, মাদকাসক্তি রোধ, নারী ও শিশু পাচার  রোধসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক সেমিনার ও প্রচারাভিযান চালানো হয়।
৬। রাজনীতি ও ধুমপান মুক্ত লেখাপড়ার পরিবেশ।
৭। এ প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যক্রমিক বিষয়াদি ছাড়াও সহপাঠ্য ক্রমিক বিষয়েও অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক মিলাদ মাহফিল, এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, রবীন্দ্র  জয়ন্তী, নজরুল জয়ন্তী, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।  
 
ছাত্রছাত্রী : ৪০০জন
 
শিক্ষকমণ্ডলী : ১০ জন
 
অর্জন : ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৩১ জন। পাশ করেছে ২০ জন। পাশের হার ৬১%।