রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা

নীতিমালা

প্রস্তাবনা: 

পাখি ডাকা ছায়াঘেরা, দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট। তিনশ ষাট আউলিয়ার স্মৃতিবিজড়িত, গুণীজনদের পদস্পর্শে ধন্য এ আধ্যাত্মিক অঞ্চল। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, চিকিৎসা, ক্রীড়া, সমাজসেবা, সাংবাদিকতা এবং শিল্পকলায় জাতীয় পর্যায়ে রয়েছে এ অঞ্চলের গুণীজনদের উল্লে­খযোগ্য অবদান। তাই সমাজের এ গুণীজনদের সম্মান প্রদর্শনকল্পে বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, শিল্প-সাহিত্যের অনন্য পৃষ্ঠপোষক, আন্তজার্তিক মানের টি-প্ল্যান্টার, কর্মবীর দানবীর ড. রাগীব আলী নিজ উদ্যোগে ২০১০ সালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা’ প্রবর্তন করেন। 

উদ্দেশ্য: 
জন্মসূত্রে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা-সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের অধিবাসী। যাঁরা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন তাদের কর্মকাণ্ড সনাক্ত করে অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন করাই রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
 
পুরস্কারের বিবরণ : 
১। পুরস্কারের নাম ‘রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা’।
২। পুরস্কারের মূল্যমান নগদ ২০,০০০/= (বিশ হাজার) টাকা। পুরস্কারের সঙ্গে ক্রেস্ট ও রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত সম্মাননাপত্র থাকবে। এ পুরস্কার প্রদানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। ওই কমিটি মনোনীত ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবেন। 
৩। প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৮(আট) জন গুণী ব্যক্তিকে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। 
৪। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, চিকিৎসা, ক্রীড়া, সমাজসেবা, সাংবাদিকতা ও শিল্পকলায় উল্লে­খযোগ্য অবদানের জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। 
৫। বিশিষ্ট শিল্পতি, দানবীর ড. রাগীব আলীর পৃষ্ঠপোষকতায় রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারের অর্থ, সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট এবং বিতরণ সংক্রান্ত ব্যয়ভার রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন বহন করবে।
৬। সাধারণত প্রতি বছর মহান ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। 
৭। পুরস্কার মরণোত্তরও প্রদান করা যাবে। 
 
পুরস্কৃত হওয়ার যোগ্যতা : 
১। জন্মসূত্রে সিলেট বিভাগের অধিবাসী হতে হবে। 
২। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে পুরস্কার যেকোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, দল বা ব্যক্তি বিশেষকে প্রদান করা হবে।
৩। পুরস্কারের জন্য কোনো ব্যক্তিগত আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য নয়।
৪। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একবারই এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। 
৫। পুরস্কার ব্যবস্থাপনা কমিটির কোনো সদস্যকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। 
৬। এ নীতিমালা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা বাতিল করার অধিকার রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের হাতে ন্যস্ত থাকবে। 
 
পুরস্কার ব্যবস্থাপনা কমিটি : 
১। রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননার জন্য প্রতি বছর পাঁচ সদস্যের একটি নতুন কমিটি গঠন করা হবে। পুরস্কার ব্যবস্থপনা কমিটিতে একজন আহবায়ক, তিনজন সদস্য ও একজন সদস্য সচিব থাকবেন। 
২। এ কমিটি ‘রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা ব্যবস্থাপনা কমিটি’ নামে অভিহিত হবে। 
৩। এ কমিটি পুরস্কারের জন্য গুণীজন মনোনয়ন বিতরণ ও এতদসংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন। 
৪। পুরস্কার ব্যবস্থাপনা কমিটি চেয়ারম্যান মহোদয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে গঠন করা হবে। 
৫। পুরস্কার প্রদানের বিষয়ে পুরস্কার ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। 
 
পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন : 
১। পুরস্কার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রাথমিকভাবে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য গুণীজনদের নাম প্রস্তাব করবেন।
২। পুরস্কার ব্যবস্থাপনা কমিটি বিভিন্ন মহল থেকেও উপযুক্ত গুণীজন নাম প্রস্তাব আহবান করতে পারবেন। 
৩। পুরস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত গুণীজনদের নামের তালিকা পুরস্কার ব্যবস্থাপনা কমিটি রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করবেন এবং তাঁর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তালিকা চুড়ান্ত করবেন।
 
পুরস্কার ঘোষণা : 
১। পুরস্কারের জন্য মনোনীত গুণীজনের নামের তালিকা প্রতিবছর একুশের মাস ( ফেব্রুয়ারি) এর মধ্যে ঘোষণা করা হবে। 
২। পুরস্কার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিবের স্বাক্ষরসহ পুরস্কারের জন্য মনোনীত গুণীজনের তালিকাটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। 
 
পুরস্কার প্রদান : 
১। ব্যবস্থাপনা কমিটির পূর্ব নির্ধারিত তারিখে অত্যন্ত ঝাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গুণীজনদের হাতে পুরস্কার তুলে দিবেন।
২। দানবীর ড. রাগীব আলীর অবর্তমানে তাঁর মনোনীত ব্যক্তি পুরস্কার গুণীজনদের হাতে তুলে দেবেন। 
৩। পুরস্কার প্রাপ্ত গুণীজনদের সম্পর্কে একটি পরিচিতিমূলক পুস্তিকা/স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের চেষ্টা করা হবে।